ফের বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত এক গৃহস্থের বাড়ি ঘর।
ফের বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত এক গৃহস্থের বাড়ি ঘর।

পত্রদূত প্রতিনিধিঃ  বন্য দাঁতাল হাতির বেলাগাম তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। ফের বন্য দাঁতাল হাতির উন্মত্ত আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত এক গৃহস্থের বাড়ি ঘর। ঘটনা তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ ডি.এম কলোনি এলাকায় শুক্রবার রাতে। বিগত ৬ মাস যাবত বন্য হাতির বেলাগাম তান্ডব কিছুটা কম ছিল। ইদানিং প্রায় প্রতি রাতেই তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন বিভিন্ন হাতি প্রবণ এলাকায় বন্য দাঁতাল হাতির আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার রাতে তেলিয়ামুড়া ডি.এম কলোনি এলাকায় হঠাৎ করে বন্য দাঁতাল হাতিটি প্রবেশ করে। দীপক দাস নামে এক ব্যাক্তির বাড়িতে প্রথমে হাতিটি প্রবেশ করে এবং মাটির কোঠা ঘরে আক্রমণ চালায়। হাতির এই আক্রমণের ফলে মাটির কোঠা ঘরটি  ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। ঘরের মধ্যে থাকা মুরগি গুলো মাটির নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু ঘটে। শুধু তাই নয় ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নষ্ট হয়ে যায়।এদিকে এই এলাকায় হাতি আসার খবর তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের কাছে ফোনযোগে জানিয়েছিল এলাকাবাসীরা। অভিযোগ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত  বনদপ্তরের কোন কর্মী সেখানে পা রাখার প্রয়োজন টুকু বোধ করেনি। কয়েকজন এ.ডি.এস টিমের ভলেন্টিয়ারদের পাঠিয়ে দিয়েছে হাতি তাড়ানোর  সরঞ্জাম না দিয়ে। দু'এক প্যাকেট বাজি দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ। অভিযোগ দিলীপ দাসের বাড়িতে যখন বন্য দাঁতাল হাতিটি আক্রমণ চালায় সেই সময় এ.ডি.এস টিমের ভলেন্টিয়ারদের কাছে ছিলনা কোন বাজি। বনদপ্তরের এ.ডি.এস টিমের কর্মীদের ঢাল-তলোয়ার হীন নিধিরাম সর্দারের ভূমিকায় দেখা গেছে শুক্রবার রাতে।এদিকে এলাকাবাসীরা চাইছে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর যেন হাতি তাড়ানোর জন্য আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। কেননা হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও