নির্বাচনে নজর বিজেপির যেসব হেভিওয়েটে
নির্বাচনে নজর বিজেপির যেসব হেভিওয়েটে

পত্রদূত প্রতিনিধিঃ ভারতের লোকসভা নির্বাচন আজ থেকে শুরু হয়েছে। সাত দফায় বিশ্বের বৃহৎ এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। ভোট শেষে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।নিরাপত্তা আর ভোটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণেই নানা দফায় ভোট করানো হচ্ছে।নির্বাচনে সবার নজর থাকবে হেভিওয়েট প্রার্থীদের দিকে। প্রথমেই নাম নিতে হয় নরেন্দ্র মোদির।তিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। জনমত সমীক্ষাগুলি বলছে তিনিই সম্ভবত ফিরে আসতে চলেছেন। যদি ৭৩ বছর বয়সি মোদি এবারও জিততে পারেন, তাহলে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি।মোদীর বড় ধরনের সমর্থক গোষ্ঠী আছেন ভারতে, যারা মনে করেন তিনি সুশাসন দিতে পেরেছেন এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের 'মাথা উঁচু' করেছেন। এ বছরের নির্বাচনে তার প্রধান স্লোগান হয়ে উঠেছে, ‌'এবার চারশো পার’, অর্থ তার দল সংসদে চারশোটি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। তবে সংসদের নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ২৭২টি আসন। গত নির্বাচনে, ২০১৯ সালে দলটি ৩০৩ টি আসনে জয়ী হয়েছিল।মোদির ভোট ব্যবস্থাপনা সামাল দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, যিনি সর্বভারতীয় বিজেপির সাবেক সভাপতি। তার নির্বাচনি কৌশল মেনে চলে বিজেপি বহু নির্বাচন জিতেছে।তার সমর্থকরা বলেন যে, তিনি হিন্দু ধর্মকে রক্ষার জন্যই কাজ করেন। তবে কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ সরিয়ে নেওয়া বা নাগরিকত্ব আইনের মতো বিতর্কিত আইনগুলি প্রণয়নের পেছনেও তারই হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিজেপির আরও এক হেভিওয়েটের দিকেও নজর থাকবে, যদিও তিনি এই ভোটের প্রার্থী নন।তিনি যোগী আদিত্যনাথ।মুণ্ডিত মস্তক, গেরুয়া বসন পরা সন্ন্যাসী থেকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যোগী আদিত্যনাথকে মনে করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরেই বিজেপির সবথেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ।তিনি এই নির্বাচনে লড়ছেন না ঠিকই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচনি প্রচারে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রয়েছে তার।সমর্থকদের কাছে তিনি একজন ধর্মীয় প্রচারক, কিন্তু সমালোচকরা বলে থাকেন যে, তিনি বিভাজনের রাজনীতি করেন এবং জনসভায় বক্তৃতা করে মুসলিম-বিরোধী মানসিকতা চাগিয়ে তোলেন।তার সাত বছরের শাসনামলে মুসলমানদের গণপিটুনি আর ঘৃণাভরা ভাষণ অনেক সময়েই সংবাদ শিরোনামে এসেছে।এবারের নির্বাচনে আরও নজর থাকবে বিজেপির সাবেক সভাপতি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও