ফাঁসিতে আত্মঘাতী যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
পত্রদূত প্রতিনিধিঃ ফাঁসিতে আত্মঘাতী যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জলাবাসা এলাকা জোরে।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,ঐ এলাকার বাসিন্দা চিওরঞ্জন নাথ এর বাড়িতে বিগত প্রায় এক বৎসর যাবৎ ভাড়াটে হিসেবে থাকতো আগরতলা আড়ালিয়া শান্তিপাড়া স্থিত শিবু দাস এর জেষ্ঠ পুএ পেষায় কাটমিস্ত্রী সুজিত দাস এবং ওর সহধর্মিণী চম্পা দাস ও বছর তিন এর এক সন্তান।জানা গেছে সুজিত এর ছোট ভাই পেষায় বাইক মেকানিক অজিত দাস বিগত চার পাঁচ দিন পুর্বে ওদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।এরি মধ্যে গতকাল রাএিতে নাকি ভাত খাওয়া নিয়ে বড় ভাই এবং বৌদির সাথে ছোট ভাই অজিতের কথা কাটাকাটি সহ জগড়া হয়।পরবর্তীতে নাকি অজিত ভাত না খেয়েই একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে।পরদিন পনেরোই মে সাত সকালে ঘুম থেকে উটে দেখতে পায় বাড়ির পরিত্যাক্ত একটি ঘরে অজিত গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছে।এই দৃশ্য দেখে নাকি বড় ভাই সুজিত নিজেকে সামলে রাখতে না পেরে ফাঁস থেকে নামিয়ে আনে অজিত কে।পরবর্তীতে ফাঁসিতে মৃত্যুর ঘটনা জানানো হয় পানিসাগর পুলিশ কে।খবর পেয়ে ঐ বাড়িতে ছুটে যায় পানিসাগর থানার পুলিশ এবং মৃত দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়াতে ডেকে পাটানো হয় কৈলাশহর স্থিত ফরেন্সিক টিম কে।পরবর্তীতে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে।ময়না তদন্তের পর মৃত দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবার পরিজনদের হাতে।ফাঁসিতে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্ত কার্য সম্পন্ন করলেও মৃত্যুর আসল রহস্য উন্মোচনে রহস্য জড়িয়ে আছে বলে প্রত্যক্ষ করলো স্থানীয় এলাকার লোকজন।মৃত দেহের গলায় এবং শরীরের অধিকাংশ অংশের নকের আছড় সহ ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।পাশাপাশি পর পর দু দুটি গামছা একএিত করে ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর পর পুলিশ কে না জানিয়ে মৃত দেহ নামানোর বিষয়টি কিন্ত অন্য কথা বলছে।এছাড়াও পুলিশি তদন্ত সহ ফরেন্সিক তদন্তে স্বাভাবিক ফাঁসিতে মৃত্যুর কোন ধরনের বাতাবরণ খোঁজে পাওয়া যায় নি।এছাড়াও ঘরের ভিতরে রান্না করা ভাতের থালা রাএি থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকা সত্বেও সকাল পর্যন্ত এগুলো পরিস্কার করা হয়নি।এমনকি ফাসিতে মৃত্যুর ঘটনার পর বাড়ি মালিক কে ভারাটে সুজিত না জানিয়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির কবিন্দ্র নামের এক যুবক জানানোয় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ ঘণীভূত হতে থাকে।স্থানীয় এলাকায় কান পাতলে এই রহস্য মৃত্যুর পিছনে প্রনয় ঘটিত সম্পর্ক জড়িয়ে আছে বলে গুঞ্জনের আবাস পরিলক্ষিত হয়।অভিযুক্ত কবিন্দ্র এর সাথে সুজিতের স্ত্রী চম্পা এর গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং বিষয়টি সুজিত নিজেও জানে।জানা গেছে সুজিতের বর্তমান স্ত্রী চম্পা আগরতলাতে একটি সন্তান সহ প্রথম স্বামীকে ফেলে দিয়ে বর্তমানে সুজিত কে বিয়ে করে অবৈধ সংসার পাতে।সুজিতের বছর তিনেকের একরত্তি সন্তানটির দেওয়া তথ্যই মৃত্যুটি পরিকল্পিত খুন কান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রণয় ঘটিত সম্পর্কের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য বহনকারীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতেই এই ধরনের পরিকল্পিত খুন করে ফাঁসিতে মৃত্যুর নাটক মন্তস্থ করে চলেছে সুজিত সহ ওর স্ত্রী এবং অবৈধ নাগর বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনদের।পানিসাগর থানার পুলিশ ফরেন্সিক টিম কে দিয়ে তল্লাশি করলেও মৃত্যুর জন্য দায়ি অভিযুক্তদের এখনো জালে তুলতে সক্ষম হয় নি।স্থানীয় এলাকার লোকজন সহ বাড়ি মালিক পক্ষের দাবি পানিসাগর পুলিশ যেন তদন্তের নামে সঠিক অপরাধীদের পার পাইয়ে না দেয়।এদের কে পাকরাও করে উপযুক্ত শাস্তি বিধান সহ কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি প্রদানের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন।যদিও এই নিয়ে পানিসাগর থানার পুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।উক্ত ফাঁসিতে মৃত্যুর ঘটনায় গোটা পানিসাগর মহকুমা জোরে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।