মাস শেষ না হতেই রেশন দোকানগুলিতে মিলছে না চাল,
মাস শেষ না হতেই রেশন দোকানগুলিতে মিলছে না চাল,

মাস শেষ না হতেই রেশন দোকানগুলিতে মিলছে না চাল,  চিনি,  ডাল এবং কেরোসিন। লবণের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। অভিযোগ গত তিন মাস যাবত রেশনে ভোক্তাদের মিলছে না লবন। ফলে দুর্ভোগ  রেশন ভোক্তাদের। ভোক্তাদের আরো অভিযোগ প্রতিটি রেশন দোকানে বহু পুরনো বাটখারা এবং কাটা -দিয়ে রেশন সামগ্রী ওজন পরিমাপ করা হচ্ছে। এতে ভোক্তারা ওজনে রেশন সামগ্রী কম পাচ্ছে। ভোক্তাদের দাবী প্রতিটি রেশন দোকানে কম্পিউটার পরিমাপ যন্ত্র চালু করা হোক। প্রসঙ্গত ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত ডুম্বুরনগর ব্লক এবং রইস্যাবাড়ি ব্লকের অধীনে রয়েছে মোট ছয়ত্রিশটি সরকারি ন্যায়্য মূল্যের দোকান তথা রেশন দোকান। রেশন দোকানগুলিতে চাল চিনি আটা লবন কেরোসিন ডাল দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাস যাবত প্রায় প্রতিটি রেশন দোকানেই ভোক্তাদের মধ্যে রেশন সামগ্রী বিতরণে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ভোক্তাদের অভিযোগ গত কয়েক মাস যাবত প্রতিটি রেশন দোকানে গিয়ে বেগ নিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে কারণ নিয়মিতভাবে রেশন সামগ্রী মিলছে না। চলতি মাসে সঠিক ভাবে চালও মিলছে না ভোক্তাদের। চলতি মাস শেষ না হতেই প্রায় প্রতিটি রেশন দোকানই রেশন সামগ্রী শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে রেশন ভোক্তারা খোলা বাজার থেকে চড়া মূল্যে চাল চিনি লবন ডাল কেরোসিন ক্রয় করতে হচ্ছে। গন্ডাছড়া মহকুমা বাজারে এক লিটার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে একশো চল্লিশ টাকা। পেট্রল বিক্রি হচ্ছে দেড়শো টাকা প্রতি লিটার। রেশন ভোক্তাদের আরো অভিযোগ গোটা গন্ডাছড়া বাজারে কম্পিউটার ওজন পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহৃত হলেও রেশন দোকানগুলিতে বৈদ্যতিন ওজন পরিমাপ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি রেশন দোকানেই বহু পুরনো কাটা এবং বাটখারা দিয়ে রেশন সামগ্রী ওজন পরিমাপ করে ভোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে ওজনে মার খাচ্ছে রেশন ভোক্তারা। কিন্তু সব জেনেশুনেও খাদ্য দপ্তর। ফলে ক্ষোভে ফুসছে ভোক্তারা।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও