অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের দরজায় এবং গেটের মূল ফটকে তালা
অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের দরজায় এবং গেটের মূল ফটকে তালা

পত্রদূত: ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত দশ বছর পূর্বে কমলাসাগর বিধানসভার কৈয়াডেপা পঞ্চায়েতের ওএনজিসি টিলা এলাকার তারা মিয়া বাম সরকার থাকাকালীন সময়ে   2 গন্ডা জায়গা দিয়েছিল তার স্ত্রীকে হেলপারের চাকরি দেওয়ার আশায়। ওই সময় নেতৃত্বরা বলেছিল তারা মিয়ার স্ত্রী কে সেই হেলপারের চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সে চাকরি তারা মিয়ার স্ত্রী কে না দিয়ে অন্য এক মহিলাকে দিয়ে দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর চাকরি করার পর সেই মহিলা হেলপারের চাকরি নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে এলাকা থেকে চলে যাই। পরবর্তী সময়ে সেই হেলপারের চাকরির জায়গাটি খালি হওয়ার কারণে পুনরায় দাবি করেছিল তারা মিয়াৱ স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার জন্য। যথারীতি গত সাত মাস যাবত তারা মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম মন্ডল এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতাদের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানিয়ে যথারীতি টাকা পয়সা ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে সেই সেন্টারে। তার একটাই উদ্দেশ্য পরবর্তী সময়ে তাকে নিয়োগ করা হবে। এমনকি মন্ডল নেতা থেকে আরম্ভ করে সকলেই আশ্বাস দিয়েছিল যে সময় হেলপার নিয়োগ করা হবে নার্গিস বেগম কে দেওয়া হবে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিডিপিও অফিস, মন্ডল এবং পঞ্চায়েতে দরখাস্ত জমা দিয়েছিল।ভাগ্যের কি পরিহাস সেই চাকরি নেতাদের আশ্বাসের পরেও তার ভাগ্যে না জুটে ওই এলাকারই শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সন্তোষ  দেবনাথের স্ত্রী পিংকি দেবনাথেৱ ভাগ্যে চুপিসারে ভাগিয়ে নেয়। আর সেই খবর পাওয়ার পরই তারা মিয়া এবং তার স্ত্রী নার্গিস বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু কেউ তাকে পাত্তা দিতে নারাজ ।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো সিডিপিও অফিসে গেলে তার সাথে খারাপ আচরণ করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় এক অফিসার।  অবশেষে সেই পরিবারটি অসহায় হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তাদের দেওয়া জায়গার অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের দরজায় এবং গেটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় বুধবার সকাল বেলা। তাদের আরও বক্তব্য যদি চাকরি না দেওয়া হয় তাহলে তাদের জায়গা থেকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তুলে নিতে হবে নতুবা দরজার তালা খুলতে দেওয়া হবে না। এদিকে এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জায়গা দেওয়ার পরেও এবং আশ্বাসের পরেও কেন সেই পরিবারকে চাকরি দেওয়া হয়নি । আবার কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রীর কাছে বাঁকা পথে দক্ষিণার জন্য হেরে যায় তারা মিয়ার পরিবার ।তবে যাই হোক অন্তত সেই চাকরিটা যেন তারা মিয়ার পরিবারকে দেওয়া হয় ওই এলাকার সকলেই সেই দাবি রাখছে।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও