হাসপাতালের চিত্র বেহাল
হাসপাতালের চিত্র বেহাল

পত্রদূত  প্রতিনিধিঃ তেলিয়ামুড়া:-   বর্তমানে করুণার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সমগ্র দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য দপ্তর নানা বিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। জনগণকে মাস্ক ব্যবহার করতে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহ সংক্রমণ ঠেকাতে নানা বিধ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে কিছু চিত্র বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে খুবই অস্বস্তিকর। যা করোনা সংক্রমন ঠেকানোর চেয়ে বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়ে রয়েছে হাসপাতালে পেছনের দিকটা। শনিবার হাসপাতালে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল এমনি চিত্র। জঙ্গলাকীর্ণ সহ হাসপাতালে ব্যবহৃত পিপিই কিট সহ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়েছে । অথচ এগুলি পরিষ্কারের জন্য সরকারি অর্থ ব্যায় করে লোক রাখা হলেও  সে আছে বহাল তবিয়তেই । খবর নেই মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের  কাছে। এইগুলি পরিস্কারের দায়িত্ব  রয়েছে গৌতম মাদ্রাজি । হাসপাতাল পরিষ্কার কিংবা হাসপাতালের আশপাশ এলাকা পরিষ্কার করার জন্য গত বাম আমলে আর.কে.এস কমিটি তাকে নিয়োগ করে। প্রতি মাসে ছয় হাজার টাকা আর.কে.এস তহবিল থেকে খরচ করা হলেও হাসপাতাল চোউদ্দি আছে আবর্জনা স্তুপে ভরা। গৌতম মাদ্রাজি নিজের কাজ ফেলে  পায়ের উপর পা রেখে বসে থেকে অন্যদের কাজের নির্দেশ দেন। এমন ভাব  যেন তিনিই হাসপাতালের ইনচার্জ। দেখুন সেই চিত্রই আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।  কখনো এক্সরে রুম কখনো কোভিড রুম পরিদর্শনে ঘুরে বেরিয়ে মাস শেষে টাকা কামান। এই বিষয়ে গৌতম মাদ্রাজি কে  প্রশ্ন করা হলে দেখুন কিভাবে পালিয়ে যান। হাসপাতালের ইনচার্জ চিকিৎসক অজিত দেববর্মা কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান,,,, যে  ব্যবহৃত পিপিই কিট থেকে যে সংক্রমন ছড়াতে পারে তা তিনি অকপটে স্বীকার করেন। তবে এই ব্যাপারে সমস্ত দায়ভার মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেৱৰ্মার উপর ঠেলে দিয়েছেন।  তবে দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের উপর দোষারোপ করলেও মূলত  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে যে কোভিড সংকর্মন বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও