মুঙ্গিয়াকামি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়েপ্রত্যক্ষ করা গেল শ্রেণিকক্ষ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান
মুঙ্গিয়াকামি  দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়েপ্রত্যক্ষ করা গেল শ্রেণিকক্ষ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান

পত্রদূত প্রতিনিধিঃ তেলিয়ামুড়াঃ  বর্তমান covid-19 পরিস্থিতির কারণে শহর, গ্রাম,প্রত্যন্ত এলাকা গুলির স্কুল খোলা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন বন্ধ। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের  শিক্ষা দপ্তর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে গিয়ে অনেকগুলি প্রকল্প চালু করেছিল। যেমন  নেইবারহুড ক্লাস, একটু খেলো একটু পড়ো, অনলাইন শিক্ষা সহ আরো অনেক কিছু। তবে শহর সহ  গ্রামীন এলাকাগুলিতে স্মার্ট ফোন, নেটওয়ার্ক, ক্যাবল সংযোগ চালু থাকলেও বাদসাধে প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে।  এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের শিক্ষার মানকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা নিজ নিজ অভিভাবকের সম্মতি নিয়ে স্কুল গুলিতে আসতে শুরু করলো  শিক্ষকদের কাছ থেকে গাইডেন্স নেওয়ার জন্য।  এক্ষেত্রে তেলিয়ামুড়া শহরের বেশ কয়েকটি বনেদি বিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে মুঙ্গিয়া কামি  দ্বাদশের  ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকটা এগিয়ে।  সোমবার মুঙ্গিয়া কামি  দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল শ্রেণিকক্ষ গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ দেববর্মার  কাছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিক্ষা দপ্তরের চালু করা বিভিন্ন প্রকল্প গুলি থেকে বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট দ্বারস্থ হয় গাইডেন্স নেওয়ার জন্য। যদিও এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ অভিভাবকের সম্মতি নিয়েই বিদ্যালয়ে আসছে।  এছাড়াও covid পরিস্থিতির কথা উপলব্ধি করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিটি স্টুডেন্টকে মাক্স,  থার্মাল স্ক্যানিং, এবং স্যানিটাইজ করে শ্রেণিকক্ষে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তবে  সেক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ গুলি প্রত্যক্ষ করে দেখা গেল ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ নিচ্ছে। 

আমরা অনলাইন শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে বঞ্চিত। গোটা আঠারো মুড়া পাহাড়ি এলাকায় কোনো টিউশন ব্যাবস্থা নেই। তাই আমরা শিক্ষকদের অনুরোধ করি স্কুলে এসে আমাদের যাতে শিক্ষার গাইডেন্স হিসাবে পাঠ দান দেয়।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও