সাইফকে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক স্ত্রী
সাইফকে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক স্ত্রী

পত্রদূত প্রতিনিধিঃ  বয়সের ফারাক কিংবা ধর্মের বেড়াজাল কোনটাই আটকে পারেনি সাইফ-অমৃতার প্রেম। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়েছিলেন সাইফ। টান কম ছিল না অমৃতারও। বেখুদি ছবির সেটে প্রথম দেখা তাদের। আলাপ থেকে একত্রবাস, খুব কম সময়েই এ সফর পার করেছিলেন তারা।১২ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে সাইফের এ সম্পর্কে সায় ছিল না মনসুর আলি খান পতৌদি ও শর্মিলা ঠাকুরের। তাই বাড়ির অমতে কার্যত পালিয়ে গিয়ে বিয়ে সারেন তারা। সময়টা ১৯৯১-এর অক্টোবর। তখন সাইফ সবে ২১ বছরের যুবক। পুত্র সন্তান ইব্রাহিমের জন্মের পর ক্রমেই আলগা হতে থাকে সাইফ-অমৃতার বন্ধন। একটা সময় সাইফের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন অমৃতা, ডিভোর্সের পর ‘বিষাক্ত দাম্পত্য’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সম্প্রতি সাইফ-অমৃতাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তাদের সহকর্মী দীপক তিজোরি। দীপক তিজোরি ‘টিপ্পসি’ দিয়ে পরিচালক হিসেবে কামব্যাক করছেন। অভিনেতা-পরিচালক তার সহকর্মীদের সম্পর্কে খোলামেলা বক্তব্য দিতে কখনো পিছপা হন না। সম্প্রতি জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপক জানান, কীভাবে অমৃতা সিং, সাইফ আলি খানকে দীপকের ছবি পেহলা নাশাকে সমর্থন না করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। ৯০- দশকে রাহুল রায়, আমির খান, শাহরুখ খান এবং অন্যান্যদের সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন দীপক। পেহলা নাশা ছিল নায়কের ভূমিকায় দীপকের প্রথম ছবি। অভিনেতা জানান, আশুতোশ গোয়ারিকর পরিচালিত এই ছবিতে রাহুল রায়, আমির খান, শাহরুখ খান এবং সাইফকে ক্যামিও দৃশ্যে অভিনয়ের অনুরোধ জানিয়েছিলে তিনি। সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে যান। বলিউডের অন্দরে ঈর্ষা, রেষারেষি তখনও অতোটা জায়গা করে নেয়নি। কিন্তু সাইফ এ ছবিতে ক্যামিও করুক চাননি স্ত্রী অমৃতা। তবে সাইফও দীপককে কথা দিয়ে ফেলেছেন, স্ত্রীর বারণ অমান্য করেই পেহলা নাশার শুট করেছিলেন তিনি। দীপক বলেন, সাইফের তৎকালীন স্ত্রী (অমৃতা সিং) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কী করছেন? আপনি কোথায় যাচ্ছেন? সাইফ বলেন, আমি শুটিংয়ে যাচ্ছি। আমি দীপকের ছবির অংশ হতে চলেছি। তিনি বলেন, সত্যি? আপনি কিভাবে এটা করতে পারেন? আপনি জানেন যে আমরা এই সমস্ত জিনিস কখনো করিনি। কারা করে এসব?’ সাইফের কাছ থেকেই নাকি গোটা ঘটনা জেনে হয়রান হয়েছিলেন দীপক। 

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও