নাবালিকা অপহরণের মূল অভিযুক্ত তমাল সরকারকে গ্রেফতার
নাবালিকা অপহরণের মূল অভিযুক্ত তমাল সরকারকে গ্রেফতার

 পত্রদূত প্রতিনিধিঃ    এক নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ মূলে দীর্ঘদিন পর যাত্রাপুর থানার পুলিশ দুর্ধর্ষ লম্পটকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।ওই লম্পট এর নাম তমাল সরকার।বয়স ২৪ বছর। তার বাড়ি লেপুঙ্গা থানা এলাকায়।  গত ৪/১১/২৩ ইং সালে যাত্রাপুর থানার অন্তর্গত নিদয়া পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ১৪ বছরের একটি নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করেছিল।ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকা মেয়েটির অভিভাবক যাত্রাপুর থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ মুলে পুলিশ তাৎক্ষণিক বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিতে নেমে তিন দিনের মধ্যে মেয়েটিকে উদ্ধার করে মেয়ের পরিবারের হাতে তুলে দেন।কিন্তু লম্পটের সন্ধান পায়নি পুলিশ।বিগত প্রায় ৬ মাস ধরে পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবং রাজ্যের বাহিরেও পুলিশ মারফত সন্ধানের প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন।  কিন্তু এই সুযোগে নাকি নতুন করে গোপনে  একটি বিয়ে করে নেন সে!এই বিয়ের পর আসে নিজ বাড়িতে। বাড়িতে আসার পরই পুলিশের গোয়েন্দা মারফত খবর আসে যাত্রাপুর থানার ওসি সুব্রত দেবনাথ এর কাছে।এই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে যান লেপুঙ্গা থানার পুলিশের কাছে।ওই থানার সহযোগিতা নিয়ে ২রা মেয়ে গভীর রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে  সক্ষম হয় পুলিশ।তেশরা মে শুক্রবার ভোর বেলায় তাকে যাত্রাপুর থানায় নিয়ে আসে। যাত্রাপুর থানার ওসি সুব্রত দেবনাথ জানান তাকে মেডিকেল করানো হয়েছে।বেলা বারোটার দিকেই সোনামুড়া কোর্টে সোপর্দ করা হবে। তবে যাত্রাপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রীতম দত্ত উনি নাকি এই বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট তৎপর ছিলেন।অবশ্যই বলা যায়, যাত্রাপুর থানার পুলিশ  সাম্প্রতিককালে শুধুমাত্র নেশা পাচার বাণিজ্য রোধে পুলিশ তৎপর নয়,অন্যান্য সামাজিক অবৈধ কাজকর্মের সাথে যুক্ত লম্পট অথবা দুষ্কৃতী ব্যক্তিদের ধরপাকড় করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা নেহাত কম নয়। তার জ্বলন্ত উদাহরণ বলা চলে নাবালিকা অপহরণকারীকে গ্রেফতারের ঘটনাটিতেই।কারণ দেরিতে হলেও রেহাই মেলেনি লম্পটের।কাজেই সাধারণ মানুষ খবর জানাজানি হতেই পুলিশের এই জাতীয় ভূমিকায় অনেকেই আপ্লুত।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও