মৃত চার মৎস্যজীবির বাড়িতে পৌঁছলেন ত্রিপুরা রাজ্য তপশিলী জাতি সমন্বয় কমিটি এবং মৎস্যজীবি ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল
মৃত চার মৎস্যজীবির বাড়িতে পৌঁছলেন ত্রিপুরা রাজ্য তপশিলী জাতি সমন্বয় কমিটি এবং মৎস্যজীবি ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল

পত্রদূত প্রতিনিধিঃ  ডুম্বুর জলাশয়ে কাল বৈশাখীর তান্ডবে অকালে অকালে মৃত চার মৎস্যজীবির বাড়িতে পৌঁছলেন ত্রিপুরা রাজ্য তপশিলী জাতি সমন্বয় কমিটি এবং মৎস্যজীবি ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল। অকালে প্রয়াত চার মৎস্যজীবি পরিবারের অনাথ ছেলেমেয়েদের বুকে আগলে নিলেন প্রতিনিধিরা। প্রতিশ্রুতি দিলেন পাশে আছি। সকলের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের পাশে পেয়ে কিছুটা হলেও বেছে থাকার সাহস পেল মৃত চার মৎস্যজীবির পরিবার পরিজনরা। প্রসঙ্গত ধলাই জেলার গন্ডাতুইসা মহকুমার অন্তর্গত ডম্বুর জলাশয়ে মৎস্য শিকার করতে গিয়ে মহকুমার মনোরঞ্জনদাস পাড়ার চার অসহায় মৎস্যজীবি কাল বৈশাখীর তান্ডবে কেইস কালচার উল্টে জলের তলায় অকালে মৃত্যু বরণ করে।ঘটনাটি ঘটেছিলো শনিবার রাতে। পরদিন রবিবার চার মৎস্যজীবি যতীশ মল্লিক, প্রদীপ দাস, হরি দাস এবং সঞ্জিত নন্দীর নিথর দেহ ডম্বুর জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় গোটা গন্ডাতুইসা মহকুমায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সোমবার স্থানীয় প্রশাসনের তরফে প্রাথমিকভাবে প্রতিটি পরিবারের হাতে পনেরো হাজার টাকা নগদে প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার ত্রিপুরা রাজ্য তপশিলী জাতি সমন্বয় কমিটি এবং মৎস্যজীবি ইউনিয়নের উদ্যোগে এক প্রতিনিধি দল গন্ডাতুইসা মহকুমা সদরের সিপিআইএম -এর দলীয় ভবনে আসেন। সেখান থেকে প্রতিনিধি দলটি সোজা চলে যান অসহায় চার মৎস্যজীবির মৃত্যুর ঘটনাস্থলে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মনোরঞ্জনদাস পাড়ায় পৌঁছে একে একে প্রতিটি মৃত মৎস্যজীবির বাড়িতে যান। শোকাহত প্রতিটি পরিবারের সকলকে বুকে আগলে নেন প্রতিনিধিরা। পরিবার পরিজনদের সকলের খোঁজ খবর নেন প্রতিনিধিরা। অসহায় পরিবার পরিজনদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিনিধিরা বলেন সর্বদা আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো। প্রতিনিধিদের পাশে পেয়ে এবং আশ্বাসে কিছুটা হলেও মনে সাহস যুগিয়েছে অসহায় পরিবারের লোকজনরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস, বিধায়ক সুদীপ সরকার, বিধায়ক নয়ন সরকার, গন্ডাতুইসা সিপিআইএম বিভাগীয় সম্পাদক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, শৈলেশ দাস, সুমতিরঞ্জন চাকমা, সুশান্ত হাজারী সহ অন্যান্যরা। বিশদে জানাতে গিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস জানান ডম্বুর জলাশয়ে যে সমস্ত কেইস কালচার নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলি অবৈজ্ঞানিক এবং অপরিকল্পিত। ফলে চার অসহায় মৎস্যজীবির মৃত্যু হয়েছে। সুধন দাস আরো বলতে গিয়ে বলেন বর্তমান মৎস্য দপ্তরের অপরিকল্পিত কাজকর্মের ফলেই অসহায় চার মৎস্যজীবির অকালে মৃত্যু ঘটেছে। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে প্রতিটি পরিবার। অনাথ হলো ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। অসহায় প্রতিটি পরিবারকে মানবিক দিক থেকে চিন্তা ভাবনা করে সরকারকে সহযোগীতার হাত বাড়াতে হবে। অসহায় পরিবার গুলির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিটি পরিবারকে নগদে দশ লক্ষ টাকা প্রদান সহ প্রতিটি পরিবারের একজনকে সরকারী চাকুরী প্রদানের দাবী জানান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব সুধন দাস।

আরো পড়ুন


ফেইসবুক

ভিডিও